প্রিয় পাঠক ধারণা করছি যে আপনি উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনা থেকে বাংলা বইয়ে কাজী নজরুল ইসলামের লিখিত বিদ্রোহী কবিতা অবলম্বনে এই পাঠ্যটি অনুসন্ধান করে চলেছেন। তবে কবি কি মানেন না (বিদ্রোহী কবিতা থেকে) এ সম্পর্কে সঠিক জানার জন্য সঠিক জায়গায় এসেছেন। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক।
কবি কি মানেন না
বিদ্রোহী কবিতার কবি কোনো আইন মানে না। নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের দুঃখকষ্ট ও আর্তচিঙ্কার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কৰি বিপ্লব-প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন বােঝাতে তিনি প্রশ্নোক্ত কথা বলেছেন। অসাম্য ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে কবির বিদ্রোহ নিরন্তর। যেখানেই তিনি অত্যাচার ও অনাচার দেখেছেন, সেখানেই বিদ্রোহ ঘােষণা করেছেন।
নিপীড়কের বিরুদ্ধে এবং আর্তমানবতার পক্ষে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন তিনি। তাঁর হুংকারে কেঁপে উঠেছে অত্যাচারীর ক্ষমতার মসনদ। অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলেও উৎপীড়িত মানুষের পক্ষে বিপ্লব-প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। এ বিষয়টিকে স্পষ্ট করতেই তিনি প্রশ্নোক্ত চরণটির অবতারণা করেছেন।
“বিদ্রোহী‘ বাংলা সাহিত্যের একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা। এ কবিতায় কবি আত্মজাগরণের উন্মুখ হয়ে আপন সত্তার সগর্ব প্রকাশ ঘটিয়েছেন। কবিতার মধ্য দিয়ে কবি মূলত ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও বিদ্রোহ প্রকাশ করেছেন। এখানে তিনি এমন বীর হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন যে, তিনি কোনো কিছুকেই পরোয়া করেন না।
আর তা করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন ধর্ম ঐতিহ্য ইতিহাস ও পরাণ গেৱে উপকরণ ও অনুষঙ্গ নিয়ে নিজের বিদ্রোহী সত্তার রূপদান করেছেন। কবি এ কবিতায় তাঁর দুটি সত্তাকে তুলে ধরেছেন। একটি হলাে তাঁর আর্ত মানবতার প্রতি প্রেম ও অন্যটি তাঁর বিদ্রোহী। সত্তা। এই বিদ্রোহী সত্তা অকুতোভয় ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী ।
তাঁর এই বিদ্রোহ অসাম্যের বিরুদ্ধে এবং আর্তমানবতার পক্ষে আশার আলাে দেখায়। এই বিদ্রোহী সত্তার একমাত্র লক্ষ্য- অত্যাচারের অবসান। আর তাই তিনি। ঘােষণা করেন, যতদিন পর্যন্ত উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল বন্ধ হবে না, ততদিন পাল কবির এই বিদ্রোহী সত্ত্বা লক্ষ্যে অবিচল থাকবে।
ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধানের জন্য এবং আমাদের সাইটে ভিজিট করার জন্য। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান অনুযায়ী এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কবি কি মানেন না তা সঠিকভাবে জানতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।