পড়া ভুলে যাওয়া বা পড়া মনে না থাকা সকল শিক্ষার্থীর নিকট একটা সাধারণ সমস্যা। হয়তো বা আপনি মনে করেন, যদি পড়াশোনা না থাকতো তাহলে কতই না আনন্দ হতো! তবে সেটা প্রকৃত পক্ষে কখনোই সম্ভব নয়। আজকের এই পোষ্টে আমরা আলোচনা করতে চলেছি সহজ সেরা ৭ টেকনিক অবলম্বনে পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল সম্পর্কে। ধৈর্য্য সহকারে পোষ্টটি পড়ার অনুরোধ রইল।
পড়া মুখস্থ করার সহজ কৌশল
তাই পড়া মনে রাখার জন্য একেক জন একেক রকম কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। আজকে আমরা জানব পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল সম্পর্কে যা সত্যিই কার্যকর ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত।
[ads1]
পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল
১. আগ্রহ নিয়ে পড়া
পড়া মনে রাখার গোপন কৌশলের মধ্যে প্রথমটি হলো কোন টপিক বা বিষয় আগ্রহ নিয়ে পড়া। কোনো বিষয় বা টপিকের প্রতি ভেতর থেকে আগ্রহ থাকলে তা খুব সহজে আয়ত্ত করা সম্ভব।
প্রকৃতপক্ষে আমাদের মস্তিষ্ক এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেটি দুঃখ বা আনন্দ মিশ্রিত ঘটনাগুলো খুব সহজে মনে রাখতে পারে। এজন্য কোন কিছু পড়ার পূর্বে সেই বিষয় বা টপিকের প্রতি গভীর আগ্রহ তৈরি করতে হবে।
কেননা উক্ত টপিকের প্রতি যদি আপনার পূর্ব থেকেই অনীহা থাকে তবে সেটা কখনোই মনে রাখা সম্ভব না। যদিও মনে থাকে, তবে সেটা দীর্ঘদিন স্থায়ী হবে না নিশ্চিত !
২. ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়া
আপনি যে টপিক বা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন সেটা ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিলে আরো বেশি কার্যকর হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ধরুন আপনি একটা সংখ্যা ৫৫৪৩২৬ মনে রাখতে চাচ্ছেন বা মুখস্ত করতে চাচ্ছেন।
এটা সম্পূর্ণ অংশ একসাথে মুখস্ত না করে আপনি চাইলে সম্পূর্ণ অংশটা দুই ভাগে ভাগ করে ৫৫৪ ও ৩২৬ এভাবে পড়তে পারেন। তাহলে আপনার পড়া মনে রাখা অনেক সহজ হবে। তাই যেকোনো পড়া মনে রাখতে চাইলে সেটাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে পড়বেন।
৩. লিখে পড়ার অভ্যাস করা
[ads2]
পড়া মনে রাখার বা পড়া মুখস্ত করার অন্যতম সেরা উপায় হলো লিখে পড়া। কোন কিছু দেখে দেখে পড়ার চেয়ে তা লিখে পড়লে দশগুণ বেশি পড়া মনে থাকে।
এটা আমার মনগড়া কথা নয় ! এটি বহুল প্রচলিত একটা বৈজ্ঞানিক কথাও বটে। তাই আপনি যদি পড়া দীর্ঘদিন স্থায়ীভাবে মনে রাখতে চান তবে লিখে পড়ার অভ্যাস করার কোনো বিকল্প নেই।
৪. ভোর রাতে উঠে পড়া
পড়া মুখস্ত করার আরেকটি সহজ উপায় হল খুব ভোর রাতে উঠে পড়া। এটা পড়া মুখস্ত করার সহজ উপায়। শুধু মুখস্ত করার জন্য নয়, মুখস্থ পড়া মনে রাখার সহজ উপায়ও এটি।
আপনি যদি ভোর রাত ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসেন তবে সেটা পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে উত্তম সময় হবে। কারণ ভোররাতে সাধারণত সবাই নিশ্চুপ থাকে। এছাড়া সারারাত ভালো করে ঘুমানোর কারণে আপনার মস্তিষ্ক সতেজ থাকে।
এজন্য এ সময় খুব সহজে পড়া মুখস্থ করা যায়। সত্যিই পড়া মনে রাখার সেরা গোপন কৌশল হলো এটি। ভোররাতে দ্বিগুণ পড়া একই সময়ে পড়া সম্ভব হয়।
আরো পড়ুন: গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়
[ads3]
৫. কোন কিছুর সাথে মিলিয়ে পড়া
পড়া মনে রাখার গোপন কৌশলগুলোর মধ্যে অনেক বেশী কার্যকরী ও প্রমাণিত টেকনিক হলো এটি। প্রথমে শুনে আপনার কাছে অদ্ভুত মনে হলেও এটি অন্যতম সেরা একটি গোপন টেকনিক।
পড়া মুখস্ত করে দীর্ঘদিন ও স্থায়ীভাবে মনে রাখতে চাইলে আপনি কোন পড়া কোন কিছুর সঙ্গে মিলিয়ে পড়তে পারেন। বাস্তব কোনো ঘটনা বা চরিত্রের সঙ্গে আপনার পড়াগুলো মিলিয়ে মনে রাখতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ : ধরুন আপনি ইংরেজি ভোকাবুলারি মুখস্থ করছেন। Feeble শব্দটির অর্থ হলো দুর্বল। মনে করেন ; আপনার একটা দুর্বল বন্ধু আছে। আপনি চাইলে এভাবে মনে রাখতে পারেন, অমুক হলো Feeble।
৬. প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করা
আপনি যদি আসলেই পড়া দীর্ঘদিন স্থায়ীভাবে মনে রাখতে চান তবে পর্যাপ্ত ঘুমানো অপরিহার্য। অনেকে আছে যারা বোকার মতো সারাক্ষণ পড়াশোনা করে। এতে হিতে বিপরীত হয়। কারণ পড়া মনে রাখার জন্য মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে হবে।
আর মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে চাইলে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে আপনার মস্তিষ্ক পড়া মনে রাখতে ব্যর্থ হবে। তাই হুদাই ঘুম বাদ দিয়ে পড়াশোনা করবেন না।
[ads4]
৭. বারবার রিভিশন করা
মুখস্থ পড়া মনে রাখার সবচেয়ে সেরা কৌশল হলো বারবার রিভিশন করা। আগের মুখস্ত করা পড়া দীর্ঘদিন মনে রাখতে চাইলে অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর নিয়মিত পড়া রিভিশন করতে হবে।
পুরোনো পড়া রিভিশন না দিয়ে হুদাই নতুন পড়া পড়বেন না। সুতরাং নিয়মিত পড়া রিভিশন করার অভ্যাস তৈরি করবেন।
আমাদের শেষ কথা কথা
তো এই ছিলো, পড়া মনে রাখার ৭টি গোপন কৌশল। উক্ত কৌশলগুলো অবলম্বন করে পড়াশোনা করলে আশা করি অনেক বেশি উপকৃত হবেন। পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে উপরোক্ত কৌশলগুলোর কোন বিকল্প নেই।
আপনার যদি পড়া মনে রাখতে বা মুখস্থ রাখতে না পারেন তবে উল্লেখিত কৌশলগুলো অবলম্বন করে দেখতে পারেন। আশা করি পড়া আপনার আগের চেয়ে আরো বেশি দ্রুত মুখস্থ হবে ও মনে রাখতে পারবেন। ধন্যবাদ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।