আপনি প্রতিটা নারীর মধ্যে একটি স্বপ্নের মিল খুজে পাবেন। আর সেটি হল প্রতি টা নারী চায় একজন মা হতে। আর যখন একটি নারীর পেটের ভিতরে ছোট করে একটি শিশুর অস্তিত্ব অনুভব করে। তখন সেই নারীর যে কতটা ভালো লাগে। সেটা শুধুমাত্র সেই বুঝতে পারবে, যারা গর্ভাবস্থায় রয়েছে। আর সে কারণে গর্ভাবস্থায় একটি নারী কে অবশ্যই এমন ভাবে চলাফেরা করতে হবে। যাতে করে তার পেটের ভেতরে থাকা সম্ভাব্য সন্তানের কোন প্রকার ক্ষতি না হয়। সে জন্য সেই নারী কে অবশ্যই বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এর পাশাপাশি যখন একটি নারী গর্ভাবস্থায় থাকে। তখন তার ওষুধ সেবনের দিক থেকেও বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন, গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের ঔষধ খাবার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। মূলত আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের ঔষধ
যখন একজন নারী গর্ভাবস্থায় থাকে তখন তার প্রথম তিন মাস বেশ সতর্ক থাকতে হয়। কেননা এই প্রথম তিন মাসের মধ্যে তার গর্ভে সন্তানের ভ্রুণ এর অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। আর সে কারণে এই সময় আপনাকে এমন কিছু করা যাবে না। যাতে করে আপনার গর্ভে থাকা সন্তানের কোন ধরনের ক্ষতি হয়। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে কি কি ঔষধ সেবন করতে হবে।
01- যেসব নারী গর্ভাবস্থায় রয়ে রয়েছেন। তাদের অবশ্যই ফলিক এসিড সেবন করতে হবে। কেননা এই ফলিক এসিডের মধ্যে ভিটামিন বি এর সকল সদস্য বিদ্যমান রয়েছে। আর আপনি যদি একজন গর্ভবতী নারী হয়ে থাকেন। তাহলে চেষ্টা করবেন দৈনিক 600 মিলিগ্রাম ফলিক এসিড খাওয়ার। যদি আপনি এই নিয়ম টি মেনে চলেন, তাহলে আপনার গর্ভস্থ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি হতে সহায়তা করবে। সে ক্ষেত্রে আপনি কলমি শাক, সরষে শাক, পালং শাক ইত্যাদি খেতে পারেন।
02- আমরা সবাই জানি যে আয়রন মূলত শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বর্তমান সময়ে আপনি আমার অনেক শিশু কে দেখতে পারবেন। যাদের মূলত রক্তস্বল্পতার সমস্যা রয়েছে। আর আপনার শিশুর যেন এ ধরনের সমস্যা না হয়। সেজন্য আপনাকে গর্ভাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আর এর জন্য আপনি প্রচুর সব লাল শাক, কচু শাক, কাঁচা কলা, ডালিম, খেজুর ইত্যাদি খেতে পারেন। কেননা এই খাবার গুলো তে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
প্রিয় পাঠক আপনি এই আর্টিকেলে পড়তেছেন গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের ঔষধ সম্পর্কে । পাশাপাশি এই সম্পর্কিত নিম্নোক্ত আরও একটি আর্টিকেল ও পড়ে নিতে পারেন।
03- একজন গর্ভবতী নারী হিসেবে আপনার অবশ্যই জেনে রাখা উচিত যে। ক্যালসিয়াম মূলত শিশুদের হাড়ের সঠিক গঠন হতে সহায়তা প্রদান করে। আর সে জন্য অবশ্যই গর্ভবতী নারীদের তার গর্ভস্থ সন্তানের হার গঠন করার জন্য নিয়মিত ক্যালসিয়াম খেতে হবে। মূলত, দুধ, দই ইত্যাদি তে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাই আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন। তাহলে এই খাবার গুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে যেসব নারীদের হাই প্রেসার এর সমস্যা রয়েছে। তাদের দুধ খাওয়া যাবে না, বরং তারা দই খেতে পারবে।
গর্ভাবস্থায় কোন ওষুধ খাওয়া যাবে না?
যখন একজন নারী সুস্থ থাকবে তখন সেই নারী বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেতে পারবে। কিন্তু সেই নারী যখন গর্ভবতী থাকবে তখন তাকে বেশ কিছু ওষুধ থেকে বিরত থাকতে হবে। নতুবা তার গর্ভে থাকা সন্তানের অনেক ক্ষতি হবে। আর সেই ওষুধ গুলোর নাম হল, আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন, লিথিয়াম পিল, লোরাজেপাম ও ক্লোনাজেপাম, গুয়াইফেনাসেন। তো আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এই ওষুধ গুলো সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের ঔষধ সম্পর্কে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে ধারণা পেতে সক্ষম হয়েছেন। তবে আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে গর্ভবতী মায়ের যেকোনো পরিস্থিতিতে এবং যেকোনো সমস্যা মোকাবেলায় অবশ্যই বিশষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে একদম ই ভুলবেন না।