নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য

নবীন বরণ অনুষ্ঠানকে ঘিরে প্রত্যেক কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বড় ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। নবাগত শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত ভাষণ দিয়ে থাকে। কিন্তু কিভাবে একজন শিক্ষক নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রদান করবে তা অনেকে জানে না। তাই আজকে আপনার অজানা বিষয়কে জানাতে আমরা হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সামনে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই আপনি মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেল পড়বেন।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি যেভাবে নিবেন

নতুন শিক্ষকদের কাছে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়া একটু কঠিন বিষয়। কারণ তাদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার পূর্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই। এই কারণে অনেক শিক্ষক আগে থেকেই ভয়ে ভয়ে থাকে। কিন্তু ভয়ের কোন কারণ নেই,নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করা খুব একটি কঠিন বিষয় না। আপনি সাহসিকতার সাথে কিছু নিয়ম নীতি ফলো করলে খুব সহজেই সুন্দর একটি বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন। নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার শুরুতেই আপনাকে সভাপতি সাহেব ও প্রধান অতিথিকে সংবর্ধনা জানাতে হবে। তারপর প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে আপনার সিনিয়র ও সিনিয়র সকল শিক্ষকের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।

তারপর যেহেতু এটি নবীন বরণ অনুষ্ঠান সে ক্ষেত্রে যে সকল শিক্ষার্থী আপনার কলেজে নতুন ভর্তি হয়েছ, তাদেরকে স্বাগতম জানাতে হবে। আবার যে সকলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার চলমান রয়েছে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে হবে। আপনি চেষ্টা করবেন সুন্দর স্পষ্ট ও সুশীল ভাষায় বক্তব্য প্রদান করতে।  সব সময় নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আপনার বক্তব্যকে যুগোপযুগী করার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনি যদি বক্তব্যের মাঝে কিছু ছন্দ যুক্ত করতে চান,সেক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য আরো শ্রুতি মধুর হবে। সর্বশেষ বক্তব্য শেষ করার আগে সবাইকে সালাম প্রদর্শনের মাধ্যমে বক্তব্য শেষ করবেন।

নিচে একজন কিভাবে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য প্রদান করবে তার একটি নমুনা আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি,আপনি নমুনা পত্র অনুসারে আপনার কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করবেন।

নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য (এখান থেকে শুরু করুন)

আজকের এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন সম্মানিত সভাপতি সাহেব, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বৃন্দ। এছাড়াও আরো উপস্থিত আছেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সিনিয়র শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ এবং আমার স্নেহের শিক্ষার্থীরা সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক সালাম আসসালামু আলাইকুম। অন্যান্য জাতির প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা।

“এসেছে শত পুষ্পের দল
করেছি তাদের বারণ।
হাতে হাতে শোভা পাবে
তাদের দেওয়া মন।
বিশাল এই পৃথিবীতে
সৃষ্টি হয়েছে সব,
সেই সৃষ্টির বরণে হচ্ছে কলরব”

আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে এই মুহূর্তে উপভোগ করছি। কারণ এক ঝাঁক তরুণ তরুণী শিক্ষা অর্জন করার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভর্তি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান সুনামের সাথে শিক্ষা প্রদান করে এসেছে। ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতা একই থাকবে। মানব জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বয়স হল শিক্ষা জীবন। শিক্ষা জীবনে জ্ঞান অর্জন করার অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান হল বিদ্যালয়।

তেমনই একটি শিক্ষা অর্জন প্রতিষ্ঠান আমাদের এই বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা অর্জন করে অনেক শিক্ষার্থী ব্যারিস্টার, জনসেবক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক,সাহিত্যিক হয়েছেন। অতীতকালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক শিক্ষার্থী দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে।

ঠিক তেমনি ভাবে তোমাদের এই নবগত ব্যাচ আমাদের শিক্ষাঅঙ্গনের নাম উজ্জ্বল করবে বলে আমি মনে করি। তবে এর জন্য তোমাদের মনোযোগ সহকারে পড়া লেখা করতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষকের বাড়ির কাজ মনোযোগ সহকারে করতে হবে। যা বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী করে না। কিন্তু এগুলো তোমাদের মনোযোগ সহকারে করতে হবে।

আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি অর্জন। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীকে সত্তিকারের মানুষ হিসেবে তৈরি করা হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থীকে শৃঙ্খলাবোধ, শিষ্টাচার, নিয়মানুবর্তিতা ও সুশীল নাগরিক গড়ায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধস্বরূপ আচার-আচরণ, তাদের পড়াশোনার কাজে সহযোগিতা করা, সাপ্তাহিক পরীক্ষা নেওয়া, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বেতন করা ও অন্যান্য সকল সুযোগ সুবিধা পাবে আমাদের এই বিদ্যালয়।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমি সহ সকল শিক্ষকবৃন্দ রয়েছে তারা অত্যন্ত আন্তরিক। বিশেষ করে আমাদের প্রধান শিক্ষক অনেক বেশি আন্তরিক। তোমাদের যেকোনো সমস্যা হলে তার সহযোগিতা নেওয়ার চেষ্টা করবে। আমাদের দাড় সব সময় তোমাদের জন্য খোলা রয়েছে। এছাড়াও তোমাদের সিনিয়র শিক্ষার্থী ভাই ও বোনদের সহযোগিতাও নিতে পারো।

আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। তোমরা নবাগত শিক্ষার্থীরা সেই নিয়ম নীতি মেনে পড়াশোনা শুরু করবে। তাহলে শিক্ষাজীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবে। আমরা বিশেষ করে ইংরেজি ও গণিতের উপর বেশি নজর দেয়। কারণ বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এই দুটি বিষয়কে অনেক ভয় পায়। তুমি যদি নিয়মিত ক্লাস করো, তাহলে ২/৩ মাসের মধ্যে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ভালো করতে পারবে।

এছাড়াও আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য সাপ্তাহিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে,তাদের পুরস্কৃত করা হয়। যা শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার বিষয়ে আরো আগ্রহী করে তোলে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক বছর শিক্ষা সফর ও বনভোজনের আয়োজন করা হয়। যা একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞানকে আরো উজ্জীবিত করে তোলে।

আবার বছরে প্রায় দুই থেকে তিনবার বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান হয়। যা একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এরকম আরো হাজারো নিয়ম নীতি মেনে চলার মাধ্যমে আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে সফলতা অর্জন করে। ঠিক তেমনিভাবে তোমাদের কেউ আমাদের এ সকল নিয়ম নীতি মেনে পড়াশোনা করতে হবে। তাহলে শিক্ষাজীবনে ভালো একটি পর্যায়ে যেতে পারবে।

ছাত্র জীবনের সফল হওয়ার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রতিষ্ঠান। কারণ তোমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি ভালো না হয়, তাহলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোন জ্ঞান অর্জন করতে পারবে না। এর সাথে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা প্রদানের জন্য সবথেকে বেশি ভূমিকা পালন করে আসে শিক্ষক। তাই শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক একে অপরের পরিপূরক। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে শিক্ষা প্রদান করে। বিশেষ করে অমনোযোগী ছাত্রদের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

বর্তমান সময়ে যেহেতু ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ সে ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষা অঙ্গনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ প্রজেক্টর এর মাধ্যমে মূলত সাপ্তাহিক দুটি ক্লাস নেওয়া হয়। এছাড়াও কোন দুর্যোগের কারণে যদি বিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে। সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ যে কোন পরিস্থিতি আসুক না কেন। আমরা তোমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বন্ধ করব না। যেকোনো পরিস্থিতির মাধ্যমে আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তুমি শিক্ষা লাভ করতে পারবে।

বর্তমান পড়াশোনা শেষ করে তোমরা যে সেক্টরে কাজ করো, অবশ্যই তোমাদের কম্পিউটারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের যেকোনো সেক্টরে চাকরি করতে গেলে অবশ্যই তোমাকে কম্পিউটার বিষয়ক পারদর্শী হতে হবে। এই জন্য আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে কম্পিউটার ল্যাব। নতুন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে পুরাতন শিক্ষার্থী সবাই কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহার করতে পারবে। সাপ্তাহিক একদিন করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন আগে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধু বইয়ের মাধ্যমে কম্পিউটার শিক্ষা প্রদান করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে কম্পিউটার শিক্ষা হাতে-কলমে শেখানো হয়। অর্থাৎ কম্পিউটার প্রত্যেক শিক্ষার্থী হাতে কলমে কম্পিউটারের প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।

কম্পিউটার শিক্ষা কে আরো সহজ করে দেওয়ার জন্য আমরা প্রত্যেকটা ক্লাসে কয়েকটি গ্রুপ তৈরি করেছি। প্রত্যেকটা শ্রেণিকক্ষে ছেলে-মেয়ে আলাদা আলাদা গ্রুপ রয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকটা গ্রুপের দশজন করে গ্রুপ করা রয়েছে। সাপ্তাহিক একদিন করে ১০ জন শিক্ষার্থী হাতে কলমে কম্পিউটার শিখতে পারবে আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে।

বই হল আমাদের সবথেকে উপকারী বন্ধু। শিক্ষার্থীর থেকে শুরু করে প্রায় সকল বয়সের মানুষের উচিত বই পড়া। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়ার ব্যবস্থা করার জন্য লাইব্রারি করে তোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো সহজ করে দেওয়ার জন্য আমাদের বিদ্যালয়ে রয়েছে লাইব্রারি। একজন শিক্ষার্থী তার পড়াশোনা শেষ করে অবসর সময়ে লাইব্রেরী দিয়ে বই পড়তে পারে। এখন দেখা যায় স্কুলের সময় লাইব্রেরী গিয়ে বই পড়া অনেকটা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী লাইব্রেরী থেকে বই বুকিং করে বাসায় নিয়ে পড়তে পারবে।

তারপর এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে বইটি ফেরত দিয়ে পুনরায় আরো একটি নতুন বই নিতে পারবে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থী যদি অন্যান্য সকল বই পড়ে তাহলে তার শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে ইতিবাচক দিক ফুটে উঠবে। সেজন্য আমাদের শিক্ষকবৃন্দ ও সভাপতি সাহেবের সাথে আলোচনা করে একটি লাইব্রারি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সচরাচর আপনি অন্যান্য বিদ্যালয়ে এরকম কোন উদ্যোগ দেখতে পারবে না।

যে সকল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান শাখায় পড়াশোনা করে তাদের কিন্তু সাইন্স সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে হয়। দেখা যায় এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে কিন্তু কিভাবে রাসায়নিক বিক্রিয়া করতে হয় তা তারা জানে না। কারণ তাদেরও কখনো হাতে কলমে এটা শেখানো হয় নি। তাই একজন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীকে রাসায়নিক বিক্রিয়া সহ বৈজ্ঞানিক অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য রয়েছে আমাদের আলাদা একটি ল্যাব। যে লাবের মাধ্যমে তোমরা বিজ্ঞানকে আরো সহজ করতে পারবে।

শিক্ষার্থীকে আমরা শুধু দিনে আট ঘন্টা দেখাশোনা করতে পারবো। অর্থাৎ স্কুল টাইমের পর আমরা তো তাদের খেয়াল রাখতে পারব না। এজন্য তাদের উপর অন্যান্য সময় নজরদারি দেওয়ার জন্য আমরা অভিভাবককে সবসময় পরামর্শ দিয়ে থাকি। আমাদের প্রত্যেক মাসের এক তারিখে অভিভাবক মিটিং এর আয়োজন করা হয়। এই মিটিংয়ের মাধ্যমে আমরা অভিভাবকের বিভিন্ন রকমের পরামর্শ প্রদান করি। অর্থাৎ কিভাবে আপনার ছেলেকে পড়াশোনায় মনোযোগী করা যায় তাদের শিক্ষাজীবন কারো সহজ করে তোলা যায় এরকম অনেক ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়ে থাকি।

এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র- ছাত্র শৃঙ্খলা, ছাত্র-শিক্ষক সুসম্পর্ক রয়েছে। প্রতিবছর পরীক্ষায় সন্তুষ্ট জনক ফলাফল অর্জন করে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আজ তোমরা যারা নতুন ইচ্ছা শক্তি ও অতুলনীয় সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ভর্তি হয়েছো, তোমাদেরকে এই ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্বে অংশীদারিত্ব করার জন্য আহবান করছি। আশা করি, আমাদের প্রতিষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধিতে তোমরা অবদান রাখতে পারবে।

প্রতিষ্ঠানে তোমাদের শিক্ষাজীবন সফল ও গৌরবময় হোক এটার জন্য সকলে কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যেন দেশ ও জাতির গৌরবে সবসময় কাজ করে। এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। আমার বক্তব্যের মাঝে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে,তাহলে সকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আবারও নবাগত শিক্ষার্থীদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসসালামু আলাইকুম।

পরিশেষে কিছু কথাঃ এই ছিল আজকে আমাদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আশা করি, আজকের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আপনারা যদি আজকের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন,তাহলে অবশ্যই একটি নবীন অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর একটি বক্তব্য দিতে পারবেন।

কারণ একটা নবীন বরণ অনুষ্ঠানে একজন শিক্ষক কিভাবে বক্তব্য (Teacher’s speech at Navin Baran ceremony) পেশ করবে তার সবকিছুই আমাদের আজকের আর্টিকেলে লেখা আছে। তাই আমি বলবো নবীন বরণ অনুষ্ঠানের সেরা বক্তব্য এটি। তারপরেও যদি আজকের আর্টিকেল নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে কমেন্ট করতে পারেন। এতোক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *