প্রিয় পাঠক ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধানের জন্য এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আপনি যদি ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে থাকেন আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কবিতার মূলভাব তবে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পোষ্টটি শুরু থেকে শেষ অবধি পড়লে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কবিতার মূলভাব
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কয়েকটি কবিতার অন্যতম একটি হলো ‘আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে‘। কবিতাটি তাঁর দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থ থেকে সংক্ষেপিত আকারে চয়ন করা হয়েছে।
এই কবিতায় কবির সৃষ্টি-সুখের আনন্দ অসাধারণ আবেগ ও উচ্ছ্বাসের মধ্যে ব্যক্ত হয়েছে। কবির ভাবনায়, বিশ্বাসে ও জাগতিক নিয়মে এতদিন যা ছিল রুদ্ধ তা যেন আজ শতধারায় উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। সর্বত্রই এখন তিনি অনুভব করেন সৃষ্টির কোলাহল, গতির উন্মাদনা, প্রাণের উচ্ছ্বাস আর মুক্তির আনন্দ। এই অফুরন্ত ভাবাবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে কবি যে কাব্যভাষা প্রয়োগ করেছেন বাংলা কবিতার ইতিহাসে তা একেবারেই নতুন। এই কবিতার মধ্যে নজরুলের কাব্য প্রতিভার সকল মাত্রার আনন্দিত প্রকাশ লক্ষ করা যায়।
ধন্যবাদ মনোযোগ সহকারে উপরোক্ত আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কবিতার মূলভাব পড়ে নেওয়ার জন্য। আশাকরি সংক্ষিপ্ত পরিসরে এই মূলভাবটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। উপরোক্ত মূলভাব আপনাদের নবম দশম শ্রেণীর মূল বই হতে সংগ্রহ করা হয়েছে।
নিয়মিত আপনাদের পাঠ্য বিষয়ক আপডেট আমাদের সাইটের মাধ্যমে পেতে গুগল নিউজে আমাদেরকে ফলো করুন। তবে আমাদের পোষ্ট করা যেকোনো আপডেট সবার আগে আপনাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
নবম দশম শ্রেণীর প্রিয় শিক্ষার্থী ও পাঠক বন্ধুরা মূল বই পড়ার কোনো বিকল্প নাই। অবশ্যই বেশী বেশী করে মূল বইটি পড়বেন। মূল বই থেকে বিশেষ করে কবিতাটি নূন্যতম ২/৩ বার পড়ে নিবেন। এতে করে কবিতায় কোন লাইনের পর কোন লাইন আসে এই সম্পর্কে আপনার ধারণা হয়ে যাবে। বিশেষ করে নৈর্বক্তিক এ এধরণের প্রশ্ন করা হয়। যেমন –
আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ
সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস,
ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস,
গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!
তারপর প্রশ্ন করা হতে পারে- উপরোক্ত এটি কোন কবিতার অংশবিশেষ? তাই আপনি যদি মূল কবিতাটি পড়ে নিতে পারেন কয়েকবার তবে এই ধরণের উত্তরগুলো করা সহজ হবে। এটা সৃজনশীলের জ্ঞানমূলক ক নাম্বারে ও আসতে পারে।