ঢাকা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত, নামকরণ ইতিহাস ও পরিচিতি

হাজির হলাম আপনাদের কাছে ঢাকা জেলার পরিচিতি নিয়ে। এই পোষ্টে ঢাকা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত, ঢাকা জেলার নামকরণ, ঢাকা জেলা কেন রাজধানী, ঢাকা জেলার বিখ্যাত স্থান, ঢাকা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ইত্যাদি আরও নানান বিষয় নিয়ে কথা হবে। 

ঢাকা নামটি ঢাকা বিভাগ,ঢাকা জেলা এবং স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশের রাজধানীর নাম। ঢাকার ইতিহাস ও বর্ণনার নেই কোনো সমাপ্তিরেখা। এ যেন এক মহাসমুদ্রের বারিধারা। নগর হিসেবে ঢাকার গোড়াপত্তন হয় ১৬১০ সালে। ২০১০ সালে ঢাকা শহরের ৪০০ বছর পূর্তি উদযাপিত হয় এবং বর্তমানে ঢাকা শহর পঞ্চম শতাব্দী অতিক্রম করছে।

নিম্নে ঢাকা সম্পর্কে যা যা আমরা জানবো-

❍ অবস্থান
❍অপর নামসমূহ
❍ঢাকা কেন প্রসিদ্ধ
❍জনসংখ্যা
❍প্রশাসনিক অঞ্চল
❍স্বাক্ষরতার হার
❍নামকরণের ইতিহাস
❍রাজধানী হওয়ার ইতিহাস
❍রাজউক
❍শিল্প-বাণিজ্যে ঢাকা
❍বিখ্যাত স্থান
❍বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ

ঢাকা জেলার অবস্থান: বাংলাদেশের মধ্যঅঞ্চলে ঢাকা অবস্থিত।এ জেলার মোট আয়তন ১৪৬৩.৬০ বর্গ কি.মি. (৫৬২ বর্গমাইল)। এই জেলার উত্তরে গাজীপুর জেলা ও টাঙ্গাইল জেলা,দক্ষিণে মুন্সিগঞ্জ জেলা,পূর্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা,পশ্চিমে মানিকগঞ্জ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে ফরিদপুর জেলা দ্বারা বেষ্টিত ঢাকা।

ঢাকা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত

ঢাকা জেলা বেনারসী শাড়ি, বিরিয়ানি এবং বাকরখানীর জন্য। এছাড়াও এ জেলাটি বিখ্যাত হওয়ার পেছনে রয়েছে কিছু বিখ্যাত স্থান ও ব্যক্তিবর্গের সমণ্বয়।

ঢাকা জেলার বিখ্যাত স্থান

➣ ঢাকেশ্বরী মন্দির, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, লালবাগ কেল্লা,চিড়িয়াখানা, বাহাদুর শাহ পার্ক,রমনা পার্ক,জাতীয় সংসদ ভবন, তারা মসজিদ, আহসান মঞ্জিল, দিওয়ান-ই-আম,পরীবিবির মাজার,তিন গম্বুজবিশিষ্ট শাহী মসজিদ,রোজ গার্ডেন প্যালেস,জিনজিরা প্রাসাদ,কার্জন হল,খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদ,হোসেনী দালান,আর্মেনিয়ান চার্চ।

➣ স্মৃতিসৌধ ও স্মারক – 

জাতীয় শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, (রায়ের বাজার), অপরাজেয় বাংলা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভাস্কর্য আসাদ গেইট।

➣ আধুনিক স্থাপত্য-

জাতীয় সংসদ ভবন, বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন, ভাসানী নভো থিয়েটার, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

➣ হ্রদঃ ধানমন্ডি হ্রদ, গুলশান হ্রদ, বনানী হ্রদ, দিয়াবাড়ি হ্রদ,

➣ ঝিল- হাতিরঝিল

ঢাকা জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ

(১)নবাব আবদুল গনি
(২)নবাব খাজা আহসান উল্লাহ
(৩)নবাব সলিমুল্লাহ
(৪)শামসুর রাহমান
(৫)আজম খান
(৬)আব্দুর রহমান বয়াতী
(৭)শৈলেশ দে
(৮)এ.কে.এম. রহমতুল্লাহ
(৯)সাহারা খাতুন
(১০)জিয়াউর রহমান খান
(১১)হাবিবুর রহমান (রাজনীতিবিদ)
(১২)আতাউর রহমান খান
(১৩)নাজমুল হুদা
(১৪)আমানউল্লাহ আমান
(১৫)আবুল হাসনাত (মেয়র)
(১৬)নসরুল হামিদ
(১৭)কাজী ফিরোজ রশীদ
(১৮)নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু
(১৯)ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্
(২০)আগা খান মিন্টু
(২১)সালমান এফ রহমান
(২২)হাজী সেলিম
(২৩)কাজী ফিরোজ রশীদ
(২৪)সাবের হোসেন চৌধুরী
(২৫)রাশেদ খান মেনন

ঢাকা জেলার নামকরণ

ঢাকার নামকরণ নিয়ে হাজারো ইতিহাস ও ধারণা কথিত আছে। বলা হয় রাজা বল্লাল সেন নির্মিত ঢাকেশ্বরি মন্দির নামের ঢাক + ঈশ্বরী থেকে ঢাকা শব্দের উৎপত্তি। ঢাকার ইতিহাস যেন অতলস্পর্শী চাদর মুড়ানো ঠিক যেন নির্দিষ্ট গন্তব্যহীন পথের ভ্রমণকাহিনী।

➣ আবার ১৬০৮ সালে ঢাকায় প্রথম মুঘলদের পা পড়লে ১৬১০ সালে তৎকালীন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর কে সম্মান করে সুবেদার ইসলাম খান চিশতী তার জীবিত কাল পর্যন্ত ঢাকার নাম জাহাঙ্গীরনগর রেখেছিলেন। তখন ঢাকা প্রথমবারের মতো রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে। 

এই নামটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭০ সালে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় যা পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকার অদূরে সাভার এলাকায় প্রায় ৬৯৭.৫৬একর এলাকায় একটি সম্পূর্ণ আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। 

➣ অনেকে মনে করেন সুবেদার ইসলাম খাঁ’র আমলেই ঢাকার নামকরণ ঢাকা করা হয়। তিনি যখন জিনজিয়া থেকে বুড়িগঙ্গা হয়ে এখানে আসেন তখন দেখতে পান এখানকার অধিবাসীরা ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসবে ব্যাস্ত। পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ইসলাম খাঁ ঢাকের শব্দ শুনে অভিভূত হন কারণ তিনি আগে কখনো ঢাকের শব্দ শুনেননি। নতুন রাজধানীর সীমানা নির্ধারণ করার জন্য পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর দিকে ৩ জন কর্মকর্তাকে প্রেরণ করেন এবং তাদের এই মর্মে আদেশ দেন যে যতক্ষণ না পর্যন্ত ঢাকের শব্দ শুনা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত যেন তারা চলতে থাকেন।তিনি এও বলেছেন যেখানে গিয়ে ঢাকের শব্দ শোনা যাবেনা দক্ষিনে বুড়িগঙ্গা রেখে সেখানেই হবে নতুন রাজধানীর সীমানা।ঢাকের শব্দের ভিত্তিতে জায়গা নির্বাচন হওয়ায় নতুন রাজধানীর নাম হয়েছে ঢাকা।

➣ আবার বলা হয় প্রাচীনকালে নাকি ঢাকা শহর তুলনামূলক উঁচু ছিল। তাই পার্শ্ববর্তী শহর সোনারগাঁ এবং বিক্রমপুরের সংযোগস্থল হিসেবে এখানে একটি পর্যবেক্ষণ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়।প্রাকৃত উপভাষায় ফাঁড়িকে বলা হত ঢাক্কা। ঢাক্কা থেকে কালক্রমে ঢাকা নামের উত্থান। 

➣ আবার ঢাক নামক বৃক্ষ থেকে ঢাকার উৎপত্তি বলেও মনে করেন কেউ কেউ।প্রাচীনকালে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এ স্থলে একটি বা অনেকগুলো ঢাক নামক বৃক্ষ ছিল। এই ঢাক বৃক্ষের নামেই পরবর্তীতে পুরো অঞ্চলটি পরিচিত হয়ে উঠে ঢাকা নামে।

➣ কারও কারও ধারণা, অজানা লতাপাতা ও বৃক্ষে(বিশেষ করে ঢাক বৃক্ষ) আচ্ছাদিত বা ঢাকা স্থানকে পরিষ্কার করে এই শহর গড়ে তোলা হয় বলে এর নামকরণ করা হয় ঢাকা।

➣ মোহাম্মদ আবদুল মান্নান তার ❛বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ❜ গ্রন্থে উল্লেখ করেন- ❝কলহনের রাজতরঙ্গীণী❞তে ঢাক্কা শব্দের উল্লেখ আছে। ঢাক্কা বলতে বোঝায় নৌ আক্রমণ প্রতিরোধের দূর্গ।ইসলাম খানের আগে থেকেই ঢাকায় মুঘলদের নৌ দূর্গের অস্তিত্ব ছিল।ধারণা করা হয় এভাবেও ঢাকা নামটি আসে।

➣ এফ বি ব্রাডলী বার্ট তার ❝ রোমান্স অব অ্যান ইস্টার্ন ক্যাপিটাল❞ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন,সম্ভবত ইসলাম খাঁ’র আমলের পূর্বেই কাছাকাছি স্থাপিত অনেকগুলো বাজারের মধ্যে একটি ঢাকা নামে পরিচিত হয়ে আসছিল।এবং এসব বাজার নিয়ে এ শহর গড়ে উঠেছিল। 

➣ ১১৬০ খ্রীস্টাব্দ থেকে ১২২৯ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মাত্র ৬৯ বছর ঢাবাকা তথা ঢাকা জনপদ হিন্দু সেন বংশ দ্বারা শাসিত ছিল।দিল্লির সুলতান ইলতুৎমীশের আমলে পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপতি মালিক সাইফুদ্দীন আইবেক সেন বংশের অত্র অঞ্চলপ্রধান সূর্য সেনকে পরাজিত করে ১২২৯ খ্রীস্টাব্দে ঢাবাকা দখল করেন।ঢাবাকা শব্দটি তৎকালীন রাষ্ট্রভাষা ফারসি ভাষায় ঢাওয়াকা উচ্চারিত হতে হতে স্বরবর্ণ ওয়াও উহ্য হয়ে পরবর্তী সময়ে চূড়ান্তভাবে উচ্চারণটি ঢাকা হয়ে যায়। অর্থাৎ ঢাবাকা = ঢা+বা+কা=ঢা+কা=ঢাকা।

➣ আবার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ডবাক হতে ঢাকা হয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে।এলাহাবাদ লিপিতে সমুদ্রগুপ্তের আমলে ডবাক নামে পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।এই ডুবাক রাজ্য হতে ঢাকার উৎপত্তি বলেও অনেকে মনে করেন।

➣ ❛আকবরনামা❜ গ্রন্থে ঢাকা এটি থানা(সামরিক ফাঁড়ি) হিসেবে এবং ❛আইন-ই-আকবর❜ গ্রন্থে সরকার বাজুহার একটা পরগনা হিসেবে ঢাকা বাজুর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

➣ ব্রিটিশ আমল থেকে ঢাকার ইংরেজি বানান “Dacca” লেখা হতো।১৯৮২ সালের ৪ই অক্টোবর প্রধান সামরিক প্রশাসক লে. জে. এইচ এম এরশাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ঢাকা নামের ইংরেজি বানান “Dacca” থেকে “Dhaka” করা হয়।

ঢাকা জেলার অপর নাম সমূহ

➣ মসজিদের শহর-

মসজিদের শহর ঢাকা একদিনে গড়ে ওঠেনি।১৮৩২ সালে ঢাকার তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট জর্জ হেনরি ওয়াল্টার এক রিপোর্টে উল্লেখ করেন,তৎকালীন ঢাকায় মসজিদের সংখ্যা ছিল ১৫৩ টি। যাী সংখ্যা ধীরে ধীরে আরো বাড়তে থাকে।ঢাকায় বর্তমানে ১০,০০০ মসজিদ আছে।

➣ রিকশার রাজধানী –

রিকশার বহুল ব্যাবহার ও নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী কাঠামোর কারনে ঢাকাকে বিশ্বের রিকশার রাজধানী বলা হয়।আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রাজধানীর রাস্তায় সর্বোচ্চ ২লাখ ১৬ হাজার গাড়ি চলতে পারে।সেখানে ঢাকায় চলছে ১২ লাখের ও বেশি রিকশা।

➣ পাথুরে শহর- 

শহরের ব্যাস্ত নগরীর ব্যাস্ততার ফাঁকে সন্ধ্যাবিলাসে ছাঁদে উঠেছেন কখনো? এইখানে সন্ধ্যার পরে কোনো উঁচু দালানের ছাঁদে দাঁড়ালে মনে হয় এ যেন কংক্রিটের নদী।শুধু দালান আর দালান তাই একে পাথুরে শহরও বলা হয়।

➣ প্রাচীনের বাহান্ন হাজার তিপ্পান্ন গলি –

প্রাচীন আমলে ঢাকা খুবই সমৃদ্ধ এবং বাণিজ্যিক জনপদ ছিল বলে একে বাহান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি নামেও ডাকা হতো। জনশ্রুতি আছে আদিতে এখানে ৫২ টি বাজার আর ৫৩ টি সড়ক ছিল বিধায় এ শহরের নামকরণ হয় এরূপ।

একে আবার জাদুর শহর বা নিয়ন বাতির শহর ও বলা হয়।এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মেগাসিটি নামেও পরিচিত।

ঢাকা জেলা কেন রাজধানী

ঢাকা এ পর্যন্ত পাঁচবার বাংলার রাজধানী হয়।- 

(১) ১৬১০ সালে – সুবা বাংলায়
রাজধানী স্থাপনকারী – সুবাদার ইসলাম খান।
(২) ১৬৬০ সালে – সুবা বাংলায়
রাজধানী স্থাপনকারী – সুবাদার মীর জুমলা।
(৩) ১৯০৫ সালে -পূর্ববঙ্গ ও আসামে
রাজধানী স্থাপনকারী – লর্ড কার্জন।
(৪) ১৯৪৭ সালে – পূর্ব বাংলায়
রাজধানী স্থাপনকারী – পাকিস্তান সরকার।
(৫) ১৯৭১ সালে – বাংলাদেশে
রাজধানী স্থাপনকারী – বাংলাদেশ সরকার। ❖রাজউক :

রাজউক – রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ। রাজউক হলো বাংলাদেশের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান যা রাজধানী ঢাকার উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে থাকে। এর পূর্ব নাম ছিল ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাষ্ট (ডিআইটি)। ঢাকা উন্নয়নের লক্ষে ডিআইটি হাজার ১৯৫৯ সালে প্রথম মহাপরিকল্পনা (First Master Plan – FMP) হাতে নেয়। রাজউক উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে গুলশান মডেল টাউন, বনানী মডেল টাউন, নিকুঞ্জ, উত্তরা, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। 

❖জনসংখ্যা

ঢাকা মহানগরী এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ। জনসংখ্যার বিচারে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম শহর।জনঘনত্বের বিচারে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর; ৩০৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২৩ হাজার লোক বাস করে।

❖প্রশাসনিক অঞ্চল :

➣ ঢাকা জেলা ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এগুলো হলো –

১)দোহার উপজেলা
২)নবাবগঞ্জ উপজেলা
৩)কেরানীগঞ্জ উপজেলা
৪)সাভার উপজেলা
৫)ধামরাই উপজেলা

➣ ঢাকা জেলায় ২টি সিটি কর্পোরেশন আছে –

১)ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
২)ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

❖স্বাক্ষরতার হার :

ঢাকা জেলার স্বাক্ষরতার হার ৭০.৫০%

শিল্প বাণিজ্যে ঢাকা 

এককালে ঢাকার শিল্প বাণিজ্য প্রচুর সমৃদ্ধশালী ছিল।ঢাকার মসলিন বিশ্বজুড়ে প্রসিদ্ধ ছিল। ১৭৪০ এর দশকে ঢাকায় উৎপাদিত মসলিনের পরিমাণ ছিল সাড়ে ২৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। ১৮০০ সালের শেষদিকে ঢাকায় উৎপাদিত মসলিনের মূল্য দাঁড়ায় ২৬ লক্ষ টাকায়।এরপরে মসলিনের উৎপাদন হ্রাস পায়।মসলিন উৎপাদন এবং এর বাণিজ্যের পতন নগরীর উপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলে।।অবশ্য ১৮২০ ও ১৮৩০ দশকের দিকে কিছু সময় ধরে নীলের ব্যাবসা এবং ১৮৫০ এর দশকে পাটের বাণিজ্যের মাধ্যমে নগরটি তার ব্যাবসায়িক সৌভাগ্য ফিরে পায়। ১৮৮০ এরর দশকের মধ্যে ঢাকা নগরী হয় পাট বাণিজ্য ও পাট উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।সম্ভবত উনিশ ও বিশ শতকে পূর্ব বাংলার সম্পূর্ণ পাটের বাণিজ্য ঢাকা থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকাগুলো হলো-

মতিঝিল, চকবাজার,নবাবপুর,নিউমার্কেট, ফার্মগেইট ইত্যাদি।
প্রধান শিল্প এলাকাগুলো হলো-
তেজগাঁও,হাজারীবাগ ও লালবাগ।
ঢাকায় মোট ২টি ইপিজেড এ মোট ৪টি শিল্পস্থাপনা রয়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ দেশের বৃহত্তম স্টক এক্সচেঞ্জ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *