যদি আপনি এই বিশেষ মুহুর্তে আপনার বিশেষ প্রয়োজনে খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প অনুসন্ধান করেন তবে আমি বলবো আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এমন একটি গল্প আজ শেয়ার করতে চলেছি যা পড়ে কাঁদবেন আপনিও। চলুন তবে এখান থেকেই শুরু করা যাক।
খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প
“এনিম” হঠাৎ চেনা কন্ঠে চমকে উঠলো এনিম। এই নির্জন রাস্তায় এতো রাতে রেহানিকে দেখে অবাকের শেষ পর্যায়ে এনিম। রেহানি তার প্রথম প্রেম। ছয় বছর আগে তাকে ছেড়ে চলে গেছে।
এনিম প্রশ্ন করলো, “হঠাৎ তুমি? আর এতো রাতে? ” এনিমের প্রশ্নে রেহানির জবাব, “তোমায় খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিলো তাই।” “কি? এতো রাতে? কোথায়….” এনিম আর কিছু বলতে পারলোনা। সামনে যে রেহানি নেই তাই তার কারণ। বেশ ভড়কে গেলো এনিম। এতো রাতে এই নির্জন রাস্তায় রেহানি কি করে আসতে পারে তাও ভাবছে এনিম।
আবার নিজের ভুল ও হতে এই ভেবে আশেপাশে তাকাতেই অন্ধকারকে ভালোভাবে অনূভব করলো সে। আশেপাশে শেয়ালের ডাক শুনা যাচ্ছে। হঠাৎ ভয়ে বুক কেঁপে উঠলো তার।জোরে পা চালিয়ে বাড়িতে পৌছালো এনিম। “তুমি আজ এতো দেরি করেছো কেন?” স্ত্রী মহিতার প্রশ্নের জবাব দিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হলো সে।
তার মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর রেহানির কথা ভাবছে এনিম। রেহানি তো তাকে ঠকিয়েছে। ভালোবাসেনি কখনো। নাহলে কি করে পারলো সে অন্যের হাত ধরে চলে যেতে। এসব ভাবতে ভাবতে নিজের অজান্তেই এনিমের চোখ থেকে জল পরছে। খেয়ালই করেনি ।
আপনি পড়ছেন খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প এই পোষ্টে । পাশাপাশি আরও একটি গল্প নিচে থেকে পড়ে নিতে পারেন আপনার ইচ্ছা হলে।
সকালবেলা, এনিমের ভাই প্রীতমের ডাকাডাকিতে বাড়ির সবার ঘুম ভাঙে।প্রীতম খুব ভয় পেয়ে আছে।সে বারবার বলছে, “রেহানি ফিরে এসেছে। সে আমাকে মেরে ফেলবে।” ভাইয়ের মুখে এ কথা শুনে এনিম হঠাৎ চিন্তিত হয়ে পরলো। আর বললো, “ও তোকে মারবে কেন?আর ও কীভাবে আসবে? ও তো ছয় বছর আগেই এখান থেকে চলে গেছে ” ভাইয়ের কথা শুনে আরো ভয়ে চুপসে গেছে প্রীতম।
সন্ধ্যাবেলা, এনিমের চার বছরের মেয়ে রাহিকে পড়তে বসিয়েছে তার মা। প্রীতমকে দেখে রাহি বলে উঠলো, “খ তে খুনি” হঠাৎ এ কথা শুনে চমকে উঠলো প্রীতম। তাড়াতাড়ি সেখান থেকে ছাদে চলে এলো সে। ছাদে এসে ছাদের একপাশে দাড়িঁয়ে ভাবছিলো সে। কতো ভালোবাসতো সে রেহানিকে।
কিন্তু রেহানি তাকে চাইতোই না।সে তো ভালোবাসতো এনিমকে।যা মেনে নিতে পারেনি প্রীতম। এই সেই ছাদ যেখান থেকে রেহানিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলো সে।মা বাবা সবাই জেনে গিয়েছিলো শুধু এনিম বাদে। কিন্তু পুলিশের ভয়ে কাউকে জানায়নি তারা।
এসব ভাবতে ভাবতেই পিছনে ফিরে রেহানিকে দেখে চমকে উঠলো প্রীতম। রেহানির মুখে কালো কালো রক্তে দাগ কেটেছে। চোখ গুলো ও কালো বর্ণের। চোখ থেকেও পরছে কালো রক্ত। রেহানির এই চেহেরা দেখে ভয়ে কাঁপছে প্রীতম। গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না তার।
“রে..রে…রেহানি। দূরে যাও তুমি। এই এই একদম কাছে আসবেনা বলছি।” কাঁপাকাঁপা স্বরে বললো প্রীতম। সামনে এগিয়ে আসছে রেহানির আত্মা। আর প্রীতম পিছাচ্ছে। আর এককদম পিছুলেই ছাদ থেকে পরে যাবে প্রীতম। তখন গর্জে উঠলো রেহানি, “প্রস্তুত হোও নিজের শাস্তির জন্য ” ” না না এটা করতে পারোনা তুমি।
নায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া……….” শেষ, শেষ হলো এক অতৃপ্ত আত্মার প্রতিশোধ নেওয়া। ছাদে প্রীতমের চিৎকারে বাসার সবাই হঠাৎ চমকে উঠলো । এনিম দৌড়ে যাওয়ার আগেই দরজার সামনে রেহানি এক চিঠি রেখে হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো । সবাই যেন থমকে গেলো। কাঁপা হাতে চিঠিটা খুললো এনিম।রক্তে দিয়ে লেখা চিঠি। যাতে লেখা ছিলো, “ভালোবাসি এনিম বড্ড ভালোবাসি”
শেষ কথা
কেমন লাগলো আমাদের আজকের এই পোষ্ট খুব কষ্টের ভালোবাসার গল্প পড়ে। আচ্ছা যাই হোক আপনার মন্তব্য কমেন্ট বক্সে আমাদের দিয়ে গেলে আরও লিখেতে অনুপ্রাণিত হবো।