আপনি এই পোষ্টে মুন্সিগঞ্জ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত, মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিচিতি, মুন্সিগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, মুন্সিগঞ্জ বিখ্যাত কেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার বিখ্যাত স্থান ও মুন্সিগঞ্জ জেলার নামকরণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন
মুন্সিগঞ্জ ঢাকা বিভাগের একটি জেলা। মুন্সিগঞ্জের প্রাচীন নাম বিক্রমপুর। যার মোট আয়তন ৯৫৪.৯৬ বর্গকিমি (৩৬৮.৭১ বর্গমাইল) এবং মোট জনসংখ্যা ১৫,০২,৪৪৯। নিম্নে মুন্সিগঞ্জ সম্পর্কে আমরা আরো জানবো –
মুন্সিগঞ্জ জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত
মুন্সিগঞ্জ জেলা বিখ্যাত ভাগ্যকুলের মিষ্টি এবং আলুর জন্য। দেশব্যাপী এর খ্যাতি আছে মিষ্টি এবং আলুর জন্য। এছাড়া এককালে মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর তথা রামপালের কলার প্রচুর খ্যাতি ছিল দেশ-বিদেশে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে রামপালের ওই কলা যেতো মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকায়।
মুন্সিগঞ্জ জেলার নামকরণ
ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বহু কীর্তিমান মনীষীর স্মৃতিধন্য মুন্সীগঞ্জ জেলা। এর প্রাচীন নিদর্শনগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজারও গৌরবগাঁথা, সুখ-দুঃখের নানান উপাখ্যান। এই জেলা সুপ্রাচীন চন্দ্ররাজাদের তাম্রশাসনের অঞ্জলি থেকে শুরু করে পাল, সেন, মোগল, বার ভূঁইয়াদের কীর্তিতে সমুজ্জ্বল বিক্রমপুরের কীর্তিময় অংশ।
মুন্সীগঞ্জের প্রাচীন নাম ছিল ইদ্রাকপুর। কথিত আছে, মোগল শাসনামলে ইদ্রাকপুরে মুন্সী হায়দার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। মোগল শাসকরা তাকে ফৌজদার নিযুক্ত করেছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন ও জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের নামে ইদ্রাকপুরের নাম রাখা হয় মুন্সীগঞ্জ। কারও মতে, জমিদার এনায়েত আলী মুন্সীর নামানুসারে মুন্সীগঞ্জের নামকরণ হয়েছে। ১৯৮৪ সালে মুন্সীগঞ্জকে জেলা ঘোষণা করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলার বিখ্যাত স্থান
➤ইদ্রাকপুর কেল্লা-
ইদ্রাকপুর কেল্লা মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত মোঘল স্থাপত্যের একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন। ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালিন বাংলার সুবাদার ও সেনাপতি মীর জুমলা ইছামতি নদীর তীরে ইদ্রাকপুর নামক স্থানে এই কেল্লাটি নির্মাণ করেন।
➤পুলঘাটা সেতু –
অনেকে এই সেতুকে গায়েবী সেতু নামেও চিনে। পানাম এবং আব্দুল্লাহপুর গ্রাম দুটোকে সংযোগ করেছে এই সেতুটি। এই সেতু ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায় নি। মুন্সীগঞ্জের প্রত্নতাত্বিক স্থাপনার মধ্যে এই পুলঘাটা সেতুটি এখনো রহস্যে পরিপূর্ণ। এই সেতুটি নির্মান করতে কেউ দেখে নি। স্থানীয় লোকমুখে এর এক কাল্পনীক গল্প রয়েছে। অনেকে বলে এটা নাকি জ্বীন ও পরীরা এক রাতে নির্মান করে গেছে। তবে ধারনা করা হয় এই সেতুটি মুঘল আমলে তৈরি করা হয়। ইট ও সুরকি দিয়ে নির্মান করা সেতুটি আজও সচল রয়েছে। এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষের চলাচল। প্রতিনিয়তই পর্যটকরা এখানে ভীড় জমায় অজানাকে জানার জন্য।এটি মীরকাদিম সেতু নামেও পরিচিত।
➤ সোনারং জোড়া মন্দির –
সোনারং জোড়া মন্দির বাংলাদেশের
অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রত্নতত্ত্বের একটি নিদর্শন যা মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে অবস্থিত।
➤অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান –
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ছিলেন একজন প্রখ্যাত পণ্ডিত যিনি পাল সাম্রজ্যের আমলে একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বৌদ্ধধর্ম প্রচারক। তার জন্ম মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামে।
➤ মাওয়া ফেরি ঘাট
➤পদ্মা রিসোর্ট
➤ মাওয়া রিসোর্ট
➤ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি
➤ আড়িয়াল বিল
➤ মেঘলা হলিডে রিসোর্ট
➤বাবা আদমের মসজিদ
➤ রাজা বল্লাল সেনের দিঘী
➤ বার আউলিয়ার মাজার
➤ পদ্মার চর
মুন্সিগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
➤অতীশ দীপঙ্কর।
➤দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস।
➤সমরেশ বসু।
➤কবি হুমায়ুন আজাদ।
➤জগদীশ চন্দ্র বসু।
➤সরোজিনী নাইডু।
➤মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
➤কবি বুদ্ধদেব বসু।
➤শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
প্রমুখ।