ফুলের বিবাহ গল্পের মূলভাব হলো প্রকৃতির সৌন্দর্য ও প্রাণবন্ততা। এই গল্পে ফুলকে একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে প্রকৃতির বিভিন্ন দিক ও অনুভূতিকে প্রকাশ করা হয়েছে। ফুলের বিবাহের মাধ্যমে প্রকৃতির মধ্যে সম্প্রীতি, সৌন্দর্য এবং প্রাণের উচ্ছ্বাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গল্পটি পাঠককে প্রকৃতির মাঝে লুকিয়ে থাকা রহস্য ও সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। নিম্নে আরও বিশদভাবে নবম দশম শ্রেণীর পাঠ্যবই অবলম্বনে মূলভাব, ভাব সম্প্রসারণ, সারাংশ, মূলকথা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। পুরোপুরি পড়ে জেনে নিন।
ফুলের বিবাহ গল্পের মূলভাব
পাঠ পরিচিতি : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লঘুরচনা কমলাকান্তের দপ্তর গ্রন্থের নবম সংখ্যক লেখা ‘ফুলের বিবাহ’। এই রচনায় হাস্যরসের মাধ্যমে বিভিন্ন ফুলের নাম, সে ফুলগুলোর গন্ধের তারতম্য, বর্ণের রকমফের অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন বঙ্কিমচন্দ্র । কখন কোন ফুল ফোটে সে পর্যবেক্ষণও এই রচনায় পাওয়া যায়। বিয়ে অনুষ্ঠান বাড়ির শিশু-কিশোর ও প্রতিবেশীদের মধ্যে অতীব আনন্দ নিয়ে আসে। এই অনুষ্ঠানে বর-কনে কেন্দ্রে থাকলেও বর-কনের মাতা-পিতা, কনের পড়শি নারীরা নানাভাবে সম্পৃক্ত থাকেন, ঘটকও থাকেন বিশেষভাবে যুক্ত। বিয়ে অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকেন এমন নানা ব্যক্তির পরিবর্তে বিভিন্ন ফুলের উল্লেখ করে অসাধারণ দক্ষতায় বঙ্কিমচন্দ্র বাঙালির গার্হস্থ্য একটি অনুষ্ঠানকে আরও আনন্দদায়ক করে এখানে উপস্থাপন করেছেন। এখানে লেখক প্রকৃতিকে বাস্তব জীবনে উপস্থাপনে অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ‘ফুলের বিবাহ’ গদ্যটি কৌতূহলী ও পর্যবেক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সহায়ক।
ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান ফুলের বিবাহ গল্পের মূলভাব আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে এসে জানতে পেরেছেন। পাশাপাশি আরও কিছু পাঠ্য, রচনা কিংবা কবিতার মূলভাব, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ নিম্নে তুলে ধরা হলো।