আপনি যদি গুগলে অনুসন্ধান করেন টাঙ্গাইল জেলার নামকরণের ইতিহাস, টাঙ্গাইল কিসের জন্য বিখ্যাত, টাংগাইল জেলা কেন বিখ্যাত, টাঙ্গাইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, টাঙ্গাইল জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ নিয়ে তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন।
আয়তনের ভিত্তিতে ঢাকা বিভাগের সর্ববৃহৎ এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতে ২য় সর্ববৃহৎ জেলা হলো টাঙ্গাইল। যার জনসংখ্যা প্রায় ৩৮ লক্ষ এবং আয়তন ৩৪১৪.৩৫ বর্গ কিলোমিটার।
টাঙ্গাইল জেলার নামকরণের ইতিহাস
টাঙ্গাইলের নামকরণ বিষয়ে রয়েছে বহুজনশ্রুতি ও নানা মতামত। ১৭৭৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত রেনেল তার মানচিত্রে এ সম্পূর্ণ অঞ্চলকেই আটিয়া বলে দেখিয়েছেন। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দের আগে টাঙ্গাইল নামে কোনো স্বতন্ত্র স্থানের পরিচয় পাওয়া যায় না। টাঙ্গাইল নামটি পরিচিতি লাভ করে ১৫ নভেম্বর ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে মহকুমা সদর দপ্তর আটিয়া থেকে টাঙ্গাইলে স্থানান্তরের সময় থেকে। টাঙ্গাইলের ইতিহাস প্রণেতা খন্দকার আব্দুর রহিম সাহেবের মতে, ইংরেজ আমলে এদেশের লোকেরা উচু শব্দের পরিবর্তে ‘টান’শব্দই ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল বেশি। এখনো টাঙ্গাইল অঞ্চলে ‘টান’শব্দের প্রচলন আছে। এই টানের সাথে আইল শব্দটি যুক্ত হয়ে হয়েছিল টান আইল। আর সেই টান আইলটি রূপান্তরিত হয়েছে টাঙ্গাইলে।
টাঙ্গাইল জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
➤ফালুচাঁদ চীশতি-র মাজার- সখিপুর উপজেলা
➤আতিয়া মসজিদ
➤২০১ গম্বুজ মসজিদ, গোপালপুর উপজেলা
➤হামিদপুর পলাশতলীর ব্রিজ ও ➤বর্ষাকালিন বিল সখিপুর উপজেলা
➤মধুপুর জাতীয় উদ্যান
➤যমুনা বহুমুখী সেতু
➤আদম কাশ্মিরী-এর মাজার
➤মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার
➤পরীর দালান/হেমনগর জমিদার বাড়ি
➤খামারপাড়া মসজিদ ও মাজার
➤ঝড়কা
➤সাগরদীঘি
➤গুপ্ত বৃন্দাবন
➤মহেড়া জমিদার বাড়ি
➤পাকুটিয়া আশ্রম
➤মগড়া নাম মন্দির
➤পাকুল্লা মসজিদ
➤আরুহা-শালিনাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ
➤নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী
➤পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল
➤উপেন্দ্র সরোবর
➤গয়হাটার মঠ
➤যমুনা নদীর পাড়
➤তেবাড়িয়া জামে মসজিদ
➤এলেঙ্গা রিসোর্ট
➤এলেঙ্গা জমিদার বাড়ী
➤কাদিমহামজানি মসজিদ
➤ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি
➤করটিয়া সা’দত কলেজ
➤করটিয়া জমিদার বাড়ি
➤ধনবাড়ি নবাব বাড়ি
➤ধনবাড়ী মসজিদ
➤নথখোলা স্মৃতিসৌধ
➤বাসুলিয়া
➤রায়বাড়ী
➤কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ
➤মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ
➤ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ী
➤মহেরা জমিদার বাড়ি
➤রাধা কালাচাঁদ মন্দির
➤পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী
➤বনগ্রাম গনকবর
➤স্বপ্ন বিলাস (চিড়িয়াখানা)
➤মোকনা জমিদার বাড়ী
➤তিনশত বিঘা চর
➤ভারতেশ্বরী হোমস
➤বায়তুল নূর জামে মসজিদ
➤দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি
➤নাগরপুর জমিদার বাড়ি
➤এলাসিন ব্রিজ
➤ডিসি লেক
➤সন্তোষ জমিদার বাড়ি
➤অলোয়া জমিদার বাড়ি
➤ছয়আনী শিব মন্দির
➤ধলাপাড়া চৌধুরী বাড়ি
➤ধলাপাড়া মসজিদ।
টাঙ্গাইল জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি
➤ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি(বীর উত্তম)
➤ বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
➤ মাঃ আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ
➤ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা
➤ কবি ও প্রকাশক কে.এম
➤ পারভেজ ওয়াহিদ।
➤ অমৃতলাল সরকার
➤ বেগম ফজিলতুন্নেসা জোহা
➤প্রতুল চন্দ্র সরকার
➤শাহজাহান সিরাজ
➤রফিক আজাদ,
➤বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী – (জন্ম: ১৯৪৭) ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাঘা কাদের নামে পরিচিত ছিলেন এবং তার নেতৃত্বে কাদেরিয়া বাহিনী গড়ে ওঠে।
➤খন্দকার আব্দুল বাতেন
➤মামুনুর রশীদ, (২৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃত।
➤মান্না, (১৯৬৪ – ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০০৮ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ছিলেন।
➤আফরান নিশো ,(জনপ্রিয় নাট্যকার,অভিনেতা)
ছোট্ট একটি ছড়ায় বিধৃত হয়েছে টাংগাইলের ছবি,
❝নদী চর খালবিল গজারির বন
টাংগাইল শাড়ি তার গরবের ধন।❞
ছড়াটি এভাবেও বলা হয়-
❝চমচম টমটম গজারির বন
টাংগাইল শাড়ি তার গরবের ধন।❞
টাংগাইল জেলা কেন বিখ্যাত
টাংগাইলের বিখ্যাত চমচমের নাম শুনলে কার জিভে পানি না আসে! আর টাংগাইল শাড়ি কোন নারীর মন না ভুলায়? শুধু চমচম আর শাড়িই নয়, বাংলা কাব্য সাহিত্য শিক্ষা সংস্কৃতি ও রাজনীতির অঙ্গনে টাঙ্গাইলের গর্ব করার মতো অনেক অসংখ্য প্রতিভাবান ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন।